সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন ও সমযোজী বন্ধনের তুলনা
সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন এবং সমযোজী বন্ধন উভয়ই ইলেকট্রন ভাগাভাগির মাধ্যমে গঠিত হলেও এদের গঠনের পদ্ধতি এবং বৈশিষ্ট্যগুলোতে পার্থক্য রয়েছে।
সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন
- ইলেকট্রন উৎস:
একক পরমাণু সম্পূর্ণ ইলেকট্রন জোড়া সরবরাহ করে বন্ধন গঠন করে। - গঠন প্রক্রিয়া:
এক পরমাণুর অব্যবহৃত ইলেকট্রন জোড়া অন্য পরমাণুর শূন্য অরবিটালে প্রবেশ করে। - উদাহরণ:
অ্যামোনিয়া (NH₃) এবং বোরন ট্রাইফ্লুরাইড (BF₃) যৌগে সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন দেখা যায়। - প্রকৃতি:
এটি বিশেষ ধরণের সমযোজী বন্ধন, যেখানে ইলেকট্রন সরবরাহকারী এবং গ্রহণকারী ভিন্ন। - প্রতীক:
সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন তীর চিহ্ন (→) দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
সমযোজী বন্ধন
- ইলেকট্রন উৎস:
বন্ধনে অংশগ্রহণকারী উভয় পরমাণু ইলেকট্রন সরবরাহ করে। - গঠন প্রক্রিয়া:
দুটি পরমাণু তাদের একটি বা একাধিক ইলেকট্রন শেয়ার করে বন্ধন গঠন করে। - উদাহরণ:
হাইড্রোজেন (H₂), ক্লোরিন (Cl₂), এবং পানি (H₂O) এর মতো যৌগে সমযোজী বন্ধন থাকে। - প্রকৃতি:
এটি সাধারণ সমযোজী বন্ধন, যেখানে উভয় পরমাণু সমানভাবে ইলেকট্রন শেয়ার করে। - প্রতীক:
সমযোজী বন্ধন ড্যাশ (-) দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন ও সমযোজী বন্ধনের তুলনামূলক বৈশিষ্ট্য
| বৈশিষ্ট্য | সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন | সমযোজী বন্ধন |
|---|---|---|
| ইলেকট্রন উৎস | একটি পরমাণু সরবরাহ করে | উভয় পরমাণু সরবরাহ করে |
| গঠন প্রক্রিয়া | একক ইলেকট্রন জোড়া ভাগাভাগি | উভয় পরমাণুর ইলেকট্রন শেয়ারিং |
| প্রতীক | তীর চিহ্ন (→) | ড্যাশ (-) |
| উদাহরণ | NH₃→BF₃ | H₂, Cl₂, H₂O |
| প্রকৃতি | বিশেষ সমযোজী বন্ধন | সাধারণ সমযোজী বন্ধন |
Content added By
Read more